মোজাম্মেল, বন্ধুবর, আমাদের আড্ডা ও হাসি খেলায়
তুই ছিলি সর্বদা প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর, উচ্ছলতায় অতুলনীয় ।
সব কিছুতেই তোর পজিটিভ মনোভাব ছিল অনুকরণীয়,
জীবন ও জীবিকার সংগ্রামে তুই ছিলি সবসময় অকুতোভয় ।
যে কোনো গুরু গম্ভীর আলোচনাও হতো আনন্দময়,
থাকতো যদি তোর দরাজ কণ্ঠের হাক ডাক সেথায় ।
বুয়েটে আমাদের ব্যাচের গ্রাজুয়েশন কনভোকেশন,
তোর প্রাণ চন্ঞল উপস্থিতি ছাড়া তাও হতো না পূর্ণ ।
এরপর প্রবাস জীবন, দীর্ঘ পনেরো বছর হলো না সাক্ষাত,
কিন্তু হৃদয়ের মধ্যে তোর স্থান ছিল অটুট, অক্ষত ।
তাইতো, গত আটাশ ডিসেম্বরে যখন বললি মুঠোফোনে,
‘বন্ধু আজ যদি না আসিস, হয়তো আর হবে না দেখা কখনো’,
আমার শরীরটা ছিল খুবই খারাপ, কিন্তু তা মোটেই পাত্তা পায়নি তখন,
ছুটে গেলাম তোর বাসায়, দিয়ে সাড়া তোর অন্তরের সেই আহ্বান ।
কত গল্প, কত হাসি ঠাট্টা, সময় চলে গেল অতি দ্রুতলয়ে,
তোর ছোট ছেলেটাকে নিজ হাতে দিচ্ছিলি খাইয়ে,
বললি আরো এক বছর ও তোর হাতেই খেতে চায় ।
নিয়তি বড় নিষ্ঠুর-নির্মম, আমারা অতি অসহায়,
হলো না পূর্ণ ছোট্ট ছেলেটার ছোট্ট সেই চাওয়া ।
কেন বন্ধু এত অভিমান, কেন এই অসময়ে প্রস্থান,
কত কিছু যে করার ছিল, বাকি কত কথন ।
পবিত্র ভূমিতে আবার যেতে চেয়েছিলি সংগে নিয়ে আমাকে,
কিন্তু চলে গেলি দূরে বহু দূরে, ফাঁকি দিয়ে আমাদেরকে,
মনের মাঝে বড় কষ্ট, অব্যক্ত ব্যাথা হিমালয় সমান ।
মহান আল্লাহ তালা তোকে বেহেশত নসীব করুন,
এই কামনা, এই দোয়াই করি আমরা সর্বক্ষন ।